অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার না হলে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আগামী ২২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রতিহিংসার আগুনে দহন নয়, গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বিকশিত হতে দাও’ শীর্ষক মানববন্ধন থেকে সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব বদরুদ্দোজা নিজাম এ ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, নাজমা আক্তার, তৌহিদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, লিমা ফেরদৌস প্রমুখ। মানবন্ধন শেষে সংগঠনের নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
বদরুদ্দোজা নিজাম বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের গার্মেন্টস শিল্প হুমকির সম্মুখীন। এখন বিদেশি বায়ারদের অর্ডার কাটার সময়। কিন্তু অরাজকতা দেখে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মালিকদের পাশাপাশি ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের রুটি রুজিও হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘২১ জানুয়ারির মধ্যে খালেদা জিয়া সহিংস কর্মসূচি প্রত্যাহার না করলে ২২ তারিখ তার কার্যালয় ঘেরাও করে শ্রমজীবী মানুষকে নিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত হরতাল অবরোধের নামে সারাদেশে ২৬ জন শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করছে। পাশাপাশি ৫ শতাধিক যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুর চালানোসহ সহিংসতায় ৬ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এ সহিংসতা এখনও চলমান।’
এর আগে গত রবিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগও অভিন্ন দাবিতে একই দিন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে রাজধানীর গুলশানে তার দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। পুলিশ জলকামান ও রায়ট কার নিয়ে তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিল। রবিবার ভোররাতে এসব যান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের তালাও খুলে নিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করার পরেও কার্যালয়ে অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
যদিও খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার ঘোষণাকে পেট্রোল বোমা, গাড়ি পোড়ানো ও মানুষ হত্যার ঘোষণা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।