‘মা কাঁদছে জ্বলছে দেশ, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’- এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ও তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তাদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছে এই এলিট বাহিনী।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারী সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণা করেন।
এবার নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে বা তাদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য দিলে তথ্যদানকারীকে ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিল র্যাব।
শনিবার সকালে র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
পুরস্কারের বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা দিয়ে র্যাব প্রধান বলেন, “ককটেল নিক্ষেপকারীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা, গাড়িতে বোমা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ছবি ব্যক্তিগত মোবাইল/ক্যামেরাতে ভিডিওচিত্র ধারণ করে র্যাবকে সরবরাহ করলে ১০ হাজার টাকা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা, ককটেল নিক্ষেপকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতারে সাহায্য করলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া টিভি চ্যানেলে দেখানো বোমা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাংচুরকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সাহায্য করলে ২৫ হাজার টাকা, ককটেল নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী/সংগঠকদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে ৫০ হাজার টাকা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতারে সাহায্য করলে ১লাখ টাকা ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী/সংগঠকদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।”
চলমান নাশকতা প্রতিরোধে র্যাবের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বেনজীর আহমেদ জানান, “৫ জানুয়ারির পর থেকে একটি গোষ্ঠী দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অর্থায়ন করছে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ। আমরা চাই না আর কোনো মানুষ এ সব সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাক।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, “নাশকতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তারা আইনের চোখে সন্ত্রাসী। দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহতের ঘটনাকে অনেকেই গুপ্তহত্যা বলে অভিযোগ করছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রয়েছেন যারা সবকিছুকেই রাজনৈতিকভাবে দেখেন ও ব্যাখ্যা দেন।”
চলমান সহিংসতা রাজনীতির কারণে ঘটছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে যারা গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করছে তারা খুনি-সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।”