মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সংবাদমাধ্যমকে এখবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে উনার (আরাফাত) মৃত্যু হয়।”
তবে কোকোর লাশ কোথায় দাফন করা হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান মারুফ কামাল। তিনি বলেন, “পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।”
দুই মেয়ের জনক কোকোর বয়স ৪৫ বছর। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি কুয়ালালামপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
মামলা নিয়ে দুই ছেলে প্রবাসে থাকার মধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমানে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
কোকোর মৃত্যুর খবর আসার পর গুলশান কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ওই কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, কুরআনখানির জন্য তাদের আনা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন এবং বিএনপির নেতাদের কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে।
মারুফ কামাল বলেন, আরাফাতের দাফনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে তা জানানো হবে।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান।
তারপর তিনি ব্যাংকক থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বলে ২০১১ সালে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় জানান ঢাকায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কোকো সেই পথ ধরেননি।
তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর আকস্মিকভাবে আরাফাতকে করা হয় জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
অভিযোগ রয়েছে, বিসিবির নির্বাচিত কমিটিকে হটিয়ে আইনের মারপ্যাঁচে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে বিসিবিকে তখন ‘দখল’ করেছিল কোকো ও তার সঙ্গীরা।
সাবের হোসেন চৌধুরীকে সরিয়ে তখন বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ নিয়েছিলেন আরাফাত কোকো।