শনিবার দুপুরে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে বসে সংবাদপত্র পড়ছিলেন খালেদা জিয়া।
এই সময়ই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর নিয়ে দুই ভাই প্রয়াত শহীদ এস্কান্দার ও শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিম সাঈদ ও কানিজ ফাতেমা ওঠেন ওই কার্যালয়ের দোতলায়, যেখানে নিজের চেম্বারে গত ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়াপারসন। বেলা আড়াইটার দিকে বেগম জিয়ার চেম্বারে সরাসরি যান তারা।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং সদস্য সায়রুল কবির খান বলেন, ‘প্রথমে দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের কাছ থেকে দুঃসংবাদটি শোনেন খালেদা জিয়া। এক রকম নির্বাক হয়ে কেঁদে ফেলেন খালেদা জিয়া। কান্নায় তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। শোকে নিথর হয়ে পড়েন।’
এরপর লন্ডন থেকেও টেলিফোন আসে খালেদা জিয়ার কাছে। বড় ছেলে তারেক রহমান রয়েছেন সেখানে।উপস্থিত স্বজনরা জানান, ‘এমন কঠিন অবস্থায় তারা খালেদা জিয়াকে কি সান্তনা দিবেন তাও ভুলে গেছেন।’
বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।
রোববার মালয়েশিয়ায় কোকোর প্রথম জানাজা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম জানাজা আগামীকাল রোববার বাদ জোহর মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নাগারায় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, ‘কোকোর জানাজার পর মরদেহ বাংলাদেশে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
এদিকে, ছোট ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।