বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। ২০১১ সালে দুবাইয়ে তানভির জামিনি নামে চল্লিশোর্ধ্ব ওই নারীকে বিয়ে করেন জারদারি। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা ও দৈনিক এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
পাক অবজারভার নামে দেশটির একটি ইংরেজি দৈনিকে গত সপ্তাহে দাবি করা হয়, প্রথম স্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভু্ট্টোর মৃত্যুর তিন বছরের মাথায় ২০১১ সালের জানুয়ারিতে দুবাইয়ে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী পেশায় চিকিৎসক তানভির জামিনিকে গোপনে বিয়ে করেন জারদারি। বর্তমানে এই দম্পতির সাজাওয়াল নামে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
তানভীর জামানি মধ্যপ্রাচ্য বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তিনি নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে বসবাস করেন। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। যুক্তরাজ্য থেকে তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। লন্ডন, দুবাই, ইসলামাবাদ ও ম্যানহাটানে তিনি বিশাল সম্পত্তির মালিক।
পাক অবজারভার দাবি করেছে, গোপনে বিয়ের কাজটি সারলেও দুবাই থেকেই বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এরপরই জারদারি পরিবার ও পিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে হাকিম আলী জারদারি স্ট্রোক করেন এবং তিন মাস অসুস্থ্ থাকার পর ২০১১ সালের মে মাসে মারা যান। এছাড়া এই বিয়ের কারণে ছেলে বিলাওয়ালের সঙ্গেও নাকি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে জারদারির। ওই সময় জারদারি-তানভীর দম্পতি বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছ থেকে পুরোপুরি চেপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করায় জারাদারি দেশটির সবচেয়ে বড় মিডিয়া গ্রুপটির বিরুদ্ধে ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলার হুমকি দিয়েছেন।
বেনজির ভুট্টো নিহত হওয়ার পর জারদারি পিপিপির কো-চেয়ারাম্যান হন এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জারদারি ও বেনজির ভুট্টোর বখতিয়ার, বিলাওয়াল ও আসিফা নামে তিন সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে বিলাওয়াল পিপির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন।