‘বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসতে হলো, ঢুকতে দিল না, বেইজ্জতির ব্যাপার। সামান্য সৌজন্যতা দেখানোর দরকার ছিল। তাও দেখাল না।’
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা মন্ত্রিসভায় এভাবেই ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার বর্তমান মন্ত্রিসভার ৪৫তম বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুভূতির কথা জানা গেছে। মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠক সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সেখানে (খালেদার গুলশান কার্যালয়) বিএনপির সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা ইচ্ছে করলে কথা বলতে পারতেন। সেই নেতাদের চেহারা তো আমরা দেখেছি।’
মন্ত্রিসভায় প্রসঙ্গটি তোলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
সূত্রের ভাষ্যানুযায়ী, “প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মা হিসেবে গিয়েছিলাম আরেক মায়ের শোকের অংশীদার হতে। রাজনীতি করতে যাইনি। এমন আচরণ প্রত্যাশিত ছিল না।”
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ‘সৌজন্যতা না দেখানো ঠিক হয়নি’ বলে যে মন্তব্য করেছেন সেই কথার প্রসঙ্গ টেনে একাধিক মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার যাওয়া যথার্থ ছিল। আপনি অপমানিত হননি।’
গত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মারা যান।
কোকোর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই রাত সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সমবেদনা জানাতে যান।
তখন খালেদা জিয়াকে ‘ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে’ রাখার কথা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যান।