ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, হুকুমের আসামী করে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে যে মামলা দেয়া হয়েছে তার তথ্য উপাত্ত ও স্বাক্ষী পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। একইসাথে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
সরকার ও র্যাবের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নাশকতার হুমুকদাতা, আশ্রয় প্রদানকারী ও অর্থদাতা- কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি জানান, রাজধানীতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সময় হাতেনাতে গ্রেফতারে সহায়তা করলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। পেট্রোল বোমা বা হাতবোমা নিক্ষেপের সময় হাতেনাতে গ্রেফতারে সহায়তা করেলে দেয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। আর বোমা তৈরি বা মজুদের তথ্য দিলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকার সব জায়গায় পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিলি করে পুরস্কারের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। ওই লিফলেটে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর থাকবে।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক, তার সামাজিক পরিচিতি যাই হোক না কেন, নাশকতার হুমুকদাতা, আশ্রয় প্রদানকারী ও অর্থদাতা- সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। অবরোধের নামে সারা দেশকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে মন্তব্য করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ এই নাশকতা ও ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সরকারের তরফ থেকে জানান, হরতাল-অবরোধের মধ্যে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
এরপর ২৪ জানুয়ারি র্যাবের পক্ষ থেকেও নাশকতাকারীদের তথ্যের জন্য ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আট ধরনের পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।