খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কবর খোঁড়া শুরু হয়েছে।এর আগে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সরেজমিন বনানী কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশপ্রাপ্ত কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক এনামুল হক জানিয়েছেন, কবর খুঁড়তে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। এ সময় ঢাকা উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আব্দুল আলিম নকি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) উত্তরের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা বারী জানিয়েছেন, “বিকাল ৪টা নাগাদ কবর খোঁড়া শেষ হবে বলেতারা আশা করছেন। আরাফাত রহমান কোকোর জন্য বনানী কবরস্থানের বি ব্লকের ১৮ নম্বর রাস্তার উত্তরর প্রথম কবরটিখোঁড়া হচ্ছে।”
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বলেন, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধানের সন্তান হিসেবে অধিকার থাকার পরও শুধু রাজনৈতিক কারণে কোকোর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বনানী কবরস্থানে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় কোকোর লাশ দেশে পৌঁছে। লাশ গুলশান কার্যালয়ে নেওয়ার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে আসরের নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কোকোর মরদেহ সেখানে কিছুক্ষণ রাখা হবে।
প্রসঙ্গত শনিবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয় আরাফাত রহমান কোকোর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি মা ও বড় ভাই ছাড়াও স্ত্রী ২ মেয়ে রেখে গেছেন।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ নাগারায় রবিবার দুপুরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সন্মান জানাতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পরছেন।
এই তিনদিন সারা দেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চলছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সারা দেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।