প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রেসিডেন্ট ওবামা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।ভারত সফর সংক্ষিপ্ত করে তার রিয়াদ যাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হলো নতুন সৌদি শাসক বাদশাহ সালমানের সাথে একটি সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা ।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে গভীর উদ্বেগ থাকলেও প্রেসিডেন্ট ওবামা মন্তব্য করেছেন, মানবাধিকার যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সন্ত্রাস দমন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও গুরুত্বপূর্ণ।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হচ্ছে সৌদি আরব।
গত প্রায় ৭০ বছর ধরে দুদেশের মধ্যে এই কৌশলগত সম্পর্ক।
বিবিসি খবর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সৌদি আরবের গুরুত্ব কতটা তা প্রেসিডেন্ট ওবামার সফরসঙ্গীদের তালিকাটা দেখলেই বোঝা যায়।
প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফরে তার সাথে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা। এই সফরটিতে আসার জন্য ওবামা ভারতে তার সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন, শেষ দিনের কর্মসূচী বাতিল করেছেন।
ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে ইসলামিক স্টেটের উত্থানের নতুন হুমকির মুখে তারা আবার এক হয়েছেন। সৌদি আরব ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হলেও তারা বাশার আসদের বিদায় দেখতে চায় এবং মনে করে তাকে ক্ষমতায় রেখে কিছুতেই ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করা সম্ভব নয়।
এছাড়া নতুন কিছু সংকটও আছে- যার একটি হলো নিম্নমুখী তেলের দাম।
ইরানের সাথে বিকাশমান মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও সৌদি আরব উদ্বিগ্ন।
আর অন্যদিকে সউদি আরবের দরিদ্র প্রতিবেশী ইয়েমেনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও আরো গুরুতর আকার নিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটা মেনে নিয়েছে যে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাটা অত্যন্ত জরুরি, এবং সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে তাদের ওপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করার উপযুক্ত সময় এখন নয়। সূত্র- বিবিসি।