অবরোধ থাকলেও নির্ধারিত সময়েই এসএসসি পরীক্ষা হবে জানিয়ে অবরোধ ডাকা দলগুলোর উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আপনাদের আল্লাহর দোহাই, খোদার দোহাই, মানবতার দোহাই- আমাদের ছেলেমেয়েদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।এসএসসি পরীক্ষার সময় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সভায় বুধবার শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, দয়া করে আপনাদের এ ভীতি সৃষ্টিকারী, মানুষ হত্যাকারী, ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী কর্মসূচি বন্ধ রাখুন। এটাই একমাত্র পথ। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের কথা পরিষ্কার- পরীক্ষার আগেই এ কর্মসূচি বন্ধ করুন।
আমরা এ টুকু আশা করতে পারি, যারা এ কর্মসূচি দিচ্ছেন তাদের মধ্যে ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ কোথাও না কোথাও লুকিয়ে আছে, চাপা পড়ে আছে। তা জাগ্রত হবে, আমাদের সন্তানদের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে নিরাপদে দেওয়ার জন্য তারা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন।
আমরা কি ধরে নেব নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা হবেই। আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আল্লাহর দোহাই, খোদার দোহাই, মানবতার দোহাই- আমাদের ছেলেমেয়েদের নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে হরতালও হচ্ছে না, অবরোধও হচ্ছে না। হরতাল অবরোধের নামে মানুষ পোড়ানো হচ্ছে, মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এতে মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন, সব কিছুর প্রস্তুতি আছে আমাদের। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করার জন্য প্রশ্ন ছাপা থেকেই আমরা বিষয়টি দেখেছি।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজি প্রেস, প্রশ্নকর্তা বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত লোক, কোচিং সেন্টার যারা প্রশ্ন ফাঁস করতে পারে তারা সবাই নজরদারির মধ্যে রয়েছে। কে কি করছে তা সব আমাদের নখদর্পণে আছে। কেউ প্রশ্ন ফাঁস করে রেহাই পাবেন না, কেউ প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টাও করতে পারবেন না। পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত করার কোনো ষড়যন্ত্রও সফল হবে না।
‘অভিভাবক, পরীক্ষার্থী, শিক্ষক ও দায়িত্বশীল নাগরিকদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দয়া করে আপনারা আমাদের ছেলেমেয়েদের দৃষ্টি ফেসবুকের দিকে ঘুরিয়ে দেবেন না। বরং আপনারা বলুন ফেসবুকের পেছনে ঘুরে সময় নষ্ট করো না। সরকারকে, শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য মূলত ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রচারণা চালানো হয়’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সভায় শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।