বুধবার (২৮ জানুয়ারী) গুলশান ২ এর ৮৬ নাম্বার রোডে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ব্যস্ততা, ভিড় তেমন একটা দেখা যায়নি। অন্যান্য দিনের তুলনায় কার্যালয়টি ছিল নিরিবিলি। গেটের বাইরে ছিল কোকোর শোকবইয়ের স্বাক্ষর করতে অাসা অাগ্রহীদের সারি, ভেতরে সুনসান নীরবতা।
নেতাকর্মীদের যে কয়েকজন কার্যালয়ের ভেতরে রয়েছেন তারা নীরবে অবস্থান করলেও খালেদার রুমে ছিল স্মৃতিকাতরতা। ছিল অারাফাতের দুই কন্যা জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান। এছাড়া ছিলেন অারাফাতের স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি। দুই নাতনির সঙ্গে প্রবাসে বসবাসরত নিজের সন্তানের নানান স্মৃতি নিয়ে গল্প শুনেই দিন কাটিয়েছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার প্রেস উইং এর কর্মকর্তা শামসুদ্দীন অাহমেদ দিদার বলেন, সারা দিন ম্যাডাম দুই নাতনির কাছ থেকে কোকোর গল্প শুনেছেন। অাবেগঅাপ্লুত পরিস্থিতি ছিল কার্যালয়ে। কার্যালয়ের নিচ তলায় রাখা বিশেষ শোকবইয়ে ছিল ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের স্বাক্ষর। তারাও জানিয়েছেন সমবেদনা। তবে খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
বিকাল পর্যন্ত সিনিয়র কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি কার্যালয়ের অাশেপাশে। এরই মধ্যে রাত পৌনে নয়টার দিকে কোকোর মৃত্যুপরবর্তী প্রথম গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। জানান কৃতজ্ঞতা। বলেন, আমি কোকোর জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। দেশবাসীকে বলবো, আমি আপনাদের মাঝে আছি এবং যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের সঙ্গেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফনের পর অারাফাত রহমান কোকোর কবরে বুধবার সারাদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, ব্যক্তিরা নানা রঙের ফুলের তোড়া দিয়ে কোকোর কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া দরুদ পড়েছেন। কোকোর কবরের চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। মাটি দিয়ে কবরটি উঁচু করা হয়েছে। ছোট ছোট সবুজ ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো কবর।
প্রসঙ্গত, সাত বছরের বেশি সময় নির্বাসিত ছোট ছেলে অারাফাত রহমান কোকো হার্ট এটাকে মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন গত শনিবার দুপুরে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে অাসে তার মরদেহ। সূত্র:ট্রিবিউন