অবরোধের পাশাপাশি বিএনপি জোটের টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালে নির্ধারিত তারিখ সোমবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে কি না- তা জানতে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আরও দুই দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে হরতালের মধ্যে পড়া পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’
২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারে বেশ কয়েকদিন ধরেই অনুরোধ জানিয়ে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ।
অবরোধ প্রত্যাহার না হলেও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
তবে এর মধ্যেই শুক্রবার ২০ দলীয় জোট এক বিবৃতিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
নতুন করে হরতাল কর্মসূচী ঘোষণার পর পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার কি ভাবছে- জানতে চাওয়া হলে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, “হরতাল এবং অবরোধের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী।
৬ জানুয়ারী থেকে চলছে ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ, যার মধ্যে ২ দফায় পালিত হয়েছে দেশব্যাপী হরতাল। এসব কর্মসূচিতে প্রতিদিনই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির মতো নাশকতা ঘটছে।
চলমান অবরোধের এই ২৪ দিনে নাশকতা ও সহিংসতায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যানবাহনে দেওয়া আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছে বহু মানুষ।
এর আগেও ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের হরতালের কারণে এসএসসির ৩৭টি বিষয় এবং এইচএসসির ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়েছিল।
ওই বছরের জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয় এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া গত বছরের শেষ দিকে জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষাও বিএনপির হরতালের কবলে পড়লে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।