বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী জোট ঘোষিত অবরোধের ২৫তম দিনে রাজধানীর তিনটি স্থানে তিন বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও পুরনো পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিন (৫৫), গার্মেন্টসকর্মী বেলায়েত হোসেন (৩০), দোকান কর্মচারী মো. রাজু (২০), জীবন ও স্যানিটারি মিস্ত্রী বাদশা মিয়া (৫৫)।
দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ বাদশা মিয়ার দুই পা ঝলসে গেছে।
আহতরা জানান, “যাত্রাবাড়ী থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে রামপুরা যাওয়ার সময় খিলগাঁও পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, ‘বাসটির আগুন নেভানো হয়েছে।’
এদিকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরে ও পলাশী কাঁচাবাজারের সামন হাতবোমা বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন।
এরা হলেন- মুনীর আহমেদ (৪২), মোহাম্মদ জীবন (৩০), তপন রায় (২৮), আবু বাশার (৪৫)।
পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল বলেন, ‘মুনীরের ডান হাতের বাহুতে আঘাত লেগেছে।’
এর আগে সকাল ও দুপুরে রাজধানীর তাঁতীবাজার ও কাপ্তানবাজার এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া জায়নি।
ওয়ারি থানার ওসি তপন কুমার পাল জানান, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আদমজী থেকে গুলিস্থানগামী মদীনা এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।’
পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল জলিল জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুরের পথে চলাচলকারী ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে বংশাল থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, “তাদের দুটি ইউনিট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তবে তার আগেই বাসটি পুড়ে যায়।”
উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারী থেকে চলমান এই অবরোধের আজ ছিল ২৫তম দিন, যেদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই অবরোধে নাশকতা ও সহিংসতায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যানবাহনে দেওয়া আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছে বহু মানুষ।