বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো-১৭-০৭০২) পেট্রোলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে চালক সুমন (৩০) গুরুতর আহত হন। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
আশিক পরিবহন লক্ষ্মীপুর ঝুমুর এলাকার ম্যানেজার মো. মাসুদ জানান, “শুক্রবার রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট থেকে আশিক পরিবহন নামে যাত্রীবাহী বাসটি ২৮-৩০ যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাদৈয়ার কাছিদ বাড়ি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা ছেড়ে নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় সুমনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।”
এ ঘটনায় বাসটির দুই যাত্রী আহত হয়েছেন বলেও জানান মো. মাসুদ।
নিহত সুমনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় বলে জানা যায়।
জেলার লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কের যাদৈয়ার কাছিদ বাড়ি ব্রিজ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা মজুচৌধুরীরহাট-চট্টগ্রাম রুটের আশিক পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-১৭-০৭০২) একটি যাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় সুমনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উন্নত চিকিৎস্যার জন্য নোয়াখালী নেওয়ার পথে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত সুমনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আবুল হাশেম জানান, “বাসটিতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের আলামত রয়েছে। তবে বোমা থেকে আগুন না ধরায় অল্পের জন্য যাত্রীরা রক্ষা পান।”
বাসটির যাত্রী আমির হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “হামলাকারীরা বাসটিকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে। প্রথমটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে আগুন ধরে যায়। দ্বিতীয়টি বাসের সামনের গ্লাসে লাগে এবং শেষ বোমাটি চালকের পাশে পড়ে গাড়িতে প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। এ সময় চালক সুমন গুরুতর আহত হন।”