নাশকতা ও সহিংসতা চলাকালে গত প্রায় এক মাস ধরে গুলশানের যে কার্যালয়ে খালেদা জিয়া অবস্থান করছেন, সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
ডেসকোর পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত ২টা ৪২ মিনিটের দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
মাঝরাত ২টা ৩৭-৩৮ মিনিটের দিকে হঠাৎ গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে অবস্থিত খালেদার রাজনৈতিক কার্যালয় ও সব বাড়ির বিদ্যুৎ চলে যায়। এর ২-৩ মিনিটের মধ্যেই ডেসকোর গুলশান জোনের লাইনম্যান মোকসেদ আলীর নেতৃত্বে একটি গাড়ি খালেদার কার্যালয়ের সামনে আসে। এর পর মোকসেদ মই দিয়ে বৈদ্যুতিক খাম্বায় উঠে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোকসেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “গুলশান থানার নির্দেশে আমরা লাইন কেটে দিয়েছি।”
বিদ্যুতের লাইন কাটার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গুলশান থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল রানা। এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ৩টা ৪৪ মিনিটে বিকল্প ব্যবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে গত ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির সাবেক এক সংসদ সদস্যের পরিবারের মালিকানাধীন বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
দুই সপ্তাহ আগে পুলিশ ওই বাড়ির সামনে থেকে সব ধরনের ব্যারিকেড সরিয়ে নিলেও সেখানেই থাকছেন খালেদা জিয়া।
মালয়েশিয়া থেকে স্বামী আরাফাত রহমান কোকোর লাশ নিয়ে আসা শর্মিলা রহমান দুই মেয়েকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ওই কার্যালয়ে রয়েছেন।
লাগাতার অবরোধের মধেই গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে রোববার থেকে সারা দেশে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট; যার পরদিন থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সূচি রয়েছে, যাতে অংশ নেবে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী।