নারীকে অপরূপা করে তুলতে শাড়ির জুড়ি মেলা ভার। যুগে যুগে এ দেশের নারীকে মোহনীয় রূপ দিয়েছে শাড়ি। বারো হাত মাপের এই পোশাকের নানা ডিজাইন ও রং নারীকে একেকভাবে তুলে আনে। নারীর কাছে শাড়ি এক অতুলনীয় পোশাক।
ডিজাইনাররা শাড়ির পাড় বা অন্যান্য অংশে নানা ডিজাইন দেন বিভিন্ন গড়নের দেহে তা মানিয়ে যাওয়ার জন্য। আপনাকে স্লিম দেখাচ্ছে কি মোটা লাগছে, আরো খাটো লাগছে কি লম্বা দেখাচ্ছে- এর সবকিছু নির্ভর করে শাড়ি পছন্দের ওপর। এখানে আপনার গড়ন অনুযায়ী সঠিক শাড়ি বাছাইয়ে নিন কিছু টিপস।
১. শাড়ির পাড় : শাড়ির বর্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের উচ্চতা কম, তাদের মোটা পাড়ের শাড়ি এড়িয়ে চলা উচিত। একটু মোটাসোটা বা খাটো নারীদের চিকন পাড় বা পাড়বিহীন শাড়ি পরাই ভালো হবে। এতে করে তাকে আরো বেশি খাটো লাগবে না। আর মোটার ভাবও কমে যাবে।
২. ছোট প্রিন্ট : হালকা এবং ছোট ছোট নকশা প্রিন্ট করা শাড়ি পছন্দ করুন। বড় মাপের প্রিন্ট আপনাকে মোটা বানিয়ে দেবে। স্লিম দেখাতে চাইলে ছোট ছোট প্রিন্টের ডিজাইন পছন্দ করুন।
৩. বড় হাতার ব্লাউজ : আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে হাতাবিহীন ব্লাউজ পরতে পারেন। কিন্তু এতে আপনি স্থুলকায় হলে আরো বেশি স্থূল দেখাবে। তাই অবশ্যই বড় হাতার ব্লাউজ বেছে নিতে হবে।
৪. পরনের ধরন : শাড়ির রং, নকশা এবং কাপড় অনুযায়ী পরার স্টাইল বদলাতে হবে। যদি একটু আঁটোসাঁটো করে দেহে জড়িয়ে নেন, তবে স্লিম দেখাবে। আপনার উচ্চতাও বেশি মনে হবে। পরনে যত বেশি ভাঁজ থাকবে, আপনাকে তত বেশি মোটা দেখাবে। তাই ভাঁজ কমিয়ে জড়িয়ে নিন।
৫. গাড় রং এর ব্যবহার : সব নারীকে কিন্তু কালো রংয়ে স্লিম দেখায়। কেন জানেন? এমন গাড় রং আপনার দেহের আসল গড়ন চোখের আড়াল করে দেয়। তাই মোটার ধাঁচ থাকলে অবশ্যই গাড় রংয়ের শাড়ি পরুন।