বাসে নাশকতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেলে স্বাভাবিকভাবে বাস চালাবেন বলে সরকারকে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গের বাস মালিকরা।
মঙ্গলবার গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরাঞ্চলের বাস পরিবহন মালিক সংগঠনগুলোর বৈঠকে দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান তারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক তালুকদার, পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।
‘নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ’ শীর্ষক এ বৈঠকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
গত ৫ জানুয়ারি ডাকা সড়ক, নৌ ও রেল পথে ডাকা লাগাতার অবরোধে দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের মহাসড়কগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এরই মধ্যে একের পর এক চোরোগোপ্তা হামলা হয়েছে রাজশাহী, বগুড়া ও রংপুর মহাসড়কের পরিবহনগুলোতে। এসব পথে দূরপাল্লার বাস চলছে না বললেই চলে।
এ অবস্থায় রংপুর বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন বাদল সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, “গাড়ি চলছে, চলবে। কিন্তু পরিবহনের শ্রমিকরা পুড়ে মরছে-তাদের কি হবে?’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে নিশ্চয়তা চেয়ে তিনি বলেন, “সরকার যদি নাশকতার শিকার পরিবহন শ্রমিক-মালিক ও যাত্রীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে উত্তরাঞ্চলে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মত দূরপাল্লার বাস চলবে।’
সভায় উপস্থিত পরিবহন নেতারাও সুর মিলিয়ে বলেন, “ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরোদমে বাস চলাচল শুরু হবে।”
এর জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা নির্ধারণে কিছুটা সময় লাগছে। প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।”
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বাস মালিকদের নাশকতাকারীদের কাছে মাথা নত করলে চলবে না। দেশের স্বার্থেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাস বন্ধ রাখা মানে পেট্রোলবোমা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানা।”