বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে গত ২৬শে জানুয়ারি ভারত সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এখনও আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ফিল র্যাইনার। বাংলাদেশ প্রশ্নে শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানের কথাও জানান ফিল র্যাইনার।
গত ৩রা ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে ওবামার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস কন্সফারেন্সে বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। নিউইয়র্কের ফরেন প্রেস সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আনসারী র্যাইনারের কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। অথচ এ অঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশে একটি অস্থির সময় এবং ক্রান্তিকাল পার করছে। মানুষ গণতন্ত্র, ভোট ও মানাবাধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছে-এমন একটি বাস্তবতায় ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতা ও চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার মূল্যায়ন কি?
এ প্রশ্নের জবাবে র্যাইনার বলেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারত সফর করেছেন, সে সময় সফর সঙ্গী হিসেবে আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে। আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখেছি, যেটি একটি উদাহরণ।
আমরা সাম্প্রতিক শ্রীলংকায়ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখেছি। নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা উত্তেজনাপূর্ণ। এ সফরে দুই নেতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তি ও নাগরিক শক্তির যে উত্থান হয়েছে তাতে একমত পোষণ করেছেন। আমরা বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। বাংলাদেশ প্রশ্নে দুই নেতার মধ্যে এখনও আলোচনা অব্যাহত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।সুত্র-কালেরকণ্ঠ