বাংলাদেশের প্রসারে সহযোগিতা করতে চান নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ছবি- পিআইডি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এসময় রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের প্রসারে তার সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে আমরা এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখি, এবং আমরা জানি যে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হয় যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, যা আমরা অনেক বিষয়েই করে থাকি।”

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

সাম্প্রতিক সন্ত্রাস ও সহিংসতা প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, “সন্ত্রাস ও সহিংসতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি গণতন্ত্রের ভাষা নয়।”

মার্কিন রাষ্ট্রদূতও রাষ্ট্রপতির সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংসতা গণতন্ত্রের পথ হতে পারে না।

আবদুল হামিদ জিএসপি সুবিধাসহ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেন।

দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে এবং পোশাক খাতের প্রতিবদ্ধকতাসমূহ দূরীকরণে তিনি কাজ করে যাবেন।”

বার্নিকাট দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে অংশীদারিত্ব সংলাপ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বার্নিকাট বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

ড্যান ডব্লিউ মজিনার স্থলাভিষিক্ত নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট গত ২৫শে জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছান। একজন মিনিস্টার কাউন্সিলর পর্যায়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সর্বশেষ ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ ব্যুরোতে উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সেনেগাল ও গিনি-বিসাউ এর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন। বার্নিকাটের দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি অফিস ডিরেক্টর হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও ভারতের নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন।


ছবি ঘর বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

বাংলাদেশের প্রসারে সহযোগিতা করতে চান নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet