হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ২১ দিন বৃদ্ধি করছে সরকার। হজে যেতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশনের সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়বে, তবে তার আগে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হলে বর্ধিত মেয়াদ কার্যকর হবে না। এ বিষয়ে একটি আদেশও জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, অবরোধ, হরতালের কারণে মানুষ সময়মতো হজের নিবন্ধন করতে পারেনি। হজ এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। এজন্য সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সৌদি সরকার ইলেকট্রনিক হজ ব্যবস্থাপনা চালুর কারণে এবার কয়েক মাস আগে হজের টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। হজ প্যাকেজের বাকি টাকা ১০ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
গত ৮ ডিসেম্বর হজ ‘প্যাকেজ-২০১৫’ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয় ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৫ টাকা। অপরদিকে সাশ্রয়ী প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা খরচ হবে।
পরিবর্তিত হজ ব্যবস্থাপনায় ওই সময়ের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের এক লাখ ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করার কথা বলা হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি বৈঠকে আগের ঘোষণার এক-তৃতীয়াংশ টাকা পরিশোধ করেই নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রিসভা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনের হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ২৫ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।”
তবে সরকারি হজযাত্রী নিবন্ধনের তথ্য জানাতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়।