লাল ও সবুজ রংয়ের শাড়ি পরে ৬টা ২৬ মিনিটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভিআইপি গ্যালারিতে বসে ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার প্রতি তার স্বভাবসুলভ ভালবাসায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে গেলেন স্টেডিয়ামে বসে। বাংলাদেশ দল পেল সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের ফাইনাল খেলা শেষে ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের জনপ্রিয় ফুটবল খেলার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে জয়ী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠবে। ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশ চমৎকার খেলেছে এবং দুটি গোল করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, “এখন থেকে প্রতি বছর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে এবং আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এই ট্রফি জয় করবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দেরকে ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলার আহ্বান জানান।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের মাধ্যমে ফুটবল এদেশে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের ফুটবল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্ব জয় করবে।”
ফাইনালে চমৎকার খেলার জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খেলায় জয়-পরাজয় আছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো এগিয়ে যাবে।”
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মালয়েশিয়া দলকেও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। অভিনন্দনে তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ ট্রফি জয় করেছে।’
সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সংগঠক, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও দর্শকদের ধন্যবাদ জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী মালয়েশীয় ও বাংলাদেশ দলের কাছে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি হস্তান্তর করেন। তিনি উভয় দলের খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যান্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত মেডেলও বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বিএফএফ) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং বিএফএফ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবলের ফাইনালে মালয়েশিয়া ৩-২ গোলে বাংলাদেশকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে সমতা থাকলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, তারই শেষ মিনিটে গোল করে জিতে যায় মালয়েশিয়া।
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে এই প্রথমবার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই প্রথমবার টুর্নামেন্টটির ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ।
শুধু তাই নয়, গত এক দশকে এই প্রথম কোন বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলল বাংলাদেশ।