৪১ ডেস্কঃ শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হবে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক। লাশারিকা লাক্ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই)।ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজ। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের (আরবিতে আরাফাহ ও বলা হয়)ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজ। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
হজরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আরাফাই তো হজ। ইমাম শাওকানী (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করল তার হজ হয়ে গেল। ইমাম তিরমিযী (রহ.) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আরাফাত ময়দানে অবস্থান করার ভাগ্য যার হয়নি তার হজ্ব বাতিল হয়ে যাবে।
সবার মনে ও মুখে উচ্চারিত হবে মহান আল্লাহর একত্ব ও মহত্বের কথা। ক্ষণিকের জন্য দুনিয়াবি চিন্তা ছেড়ে সাদা কাপড় পরে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বে আল্লাহর বান্দাহগণ। হজ গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ।
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি হজ করেছে, তাতে কোনো অশ্লীল আচরণ করেনি ও কোনো পাপে লিপ্ত হয়নি, সে সেই দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে গেল, যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছে। (বুখারি-১৪৪৯)।
মক্কা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে দুই মাইল করে দৈর্ঘ্য ও প্রশস্ত বিশিষ্ট এক বিশাল সমতল মাঠ হলো আরাফাতের ময়দান ।এর উত্তরের সাদ পাহাড় থেকে আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে আরও এক হাজার মিটার বিস্তৃত।
শুক্রবার ৯ জিলহজ (সৌদি আরব সময়) ফজরের নামাজ মিনায় আদায় করার পর আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে হবে তাদের। সূর্যাস্তের পর মুযদালিফা যাবেন হাজিরা। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ এশার ওয়াক্তে একসঙ্গে পড়বেন তারা। এছাড়া পুরো রাত অবস্থান করতে হবে সেখানে। এদিন মসজিদে নামিরা থেকে হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আশ শেখ। আল্লাহ তায়ালা ও তার বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহ বিরাজ করবে আরাফার ময়দানে। ফুটে উঠবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অসাধারণ দৃশ্য।