পুলিশের মহাপরিদর্শকের অনুরোধ মেনে নিয়ে রাত ৯টার পর দূরপাল্লার যানবাহন না চালানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী এবং পরিবহন মালিকরা একথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আগেই অনুরোধ করেছিলাম যে যাত্রীবাহী বাস যেন রাত ৯টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তখন মালিকরা আমাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও আজ দীর্ঘ আলোচনার পরে তারা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছেন।”
পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান স্বাভাবিক নিয়মে চলাচলের সরকারি সিধান্ত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নৈশকোচ চলবে না। তবে সব ধরনের মালবাহী গাড়ি চলবে”
গত ৩৪ দিন ধরে অবরোধে মহাসড়কে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। অগ্নিদগ্ধ হয়ে অর্ধশতের ও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই গাড়িচালক বা চালকের সহকারী কিংবা বাসের যাত্রী।
এই নাশকতার মধ্যে মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ ও বিজিবির টহলের পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার পয়েন্টে ১২ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নেয় সরকার। কিন্তু তার মধ্যেও ঘটে নাশকতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের কয়েকটি এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটেছে। ওই এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দুর্বলতা খুঁজে বের করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়ার পর সব যাত্রীবাহী পরিবহন দিন-রাতে চলবে।”
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত দিন সময় লাগতে পারে- সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রীর কাছে। উত্তরে তিনি জানান, “শিগগিরই, অচিরেই দিন-রাত গাড়ি চালানো কন্টিনিউ করব।”
বৈঠকের শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে এবং রোড সচল হয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রামের কিছু জায়গায়ই সমস্যা হচ্ছে।”
অবরোধে নাশকতার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানান, “ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর ৬৭৪টি আবেদন পাঠানো হয়েছে। তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে শুনেছি।”