দম্পতি যখন সহকর্মী

ছবিটা প্রতিকীবহুজাতিক একটি কর্পোরেট হাউজে একসঙ্গে কাজ করেন অর্ক ও অর্পিতা। কর্মক্ষেত্রেই পরিচয়, প্রেম তারপর পরিণয়। বিয়ের পর অর্পিতা চাকরি পরিবর্তনের কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু অর্কর কথায় চাকরি পাল্টানোর চিন্তাকে খুব একটা আমলে নেননি। আসলে বিয়ের পরও একই অফিসে একই সঙ্গে থাকার ইতিবাচক ধারনাটা বেশ ভালোই লেগেছিল তাদের।

প্রথম প্রথম ভালো কাটলেও কিছুদিন পর থেকেই অর্পিতা লক্ষ্য করছিল তার প্রতি সহকর্মীদের ব্যবহারে কেমন যেন পরিবর্তন এসেছে। অফিসে তৈরি হওয়া এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য অর্পিতার প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, এবার সে চাকরিটা ছেড়ে দেবে।

অর্ক-অর্পিতার মতো একই অফিসে চাকরি করা দম্পতিদের শুধু অসুবিধা নয় আছে সুবিধার জায়গাও। সুবিধার জায়গাটা হলো, দম্পতিরা একে অপরের কাজ ও ব্যস্ততা দেখতে পারছেন, যা তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় অনেক সহায়তা করে।

এ সম্পর্কে ভারতের দাম্পত্যবিষয়ক পরামর্শদাতা ডা. সঞ্জয় মুখার্জি বলেন, ব্যক্তিগত আর পেশাদার জীবন মিলেমিশে গেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতেই পারে, তবে তাতে হতাশ হলে চলবে না। বরং গুটিকয়েক সহজ নিয়ম মেনে চললেই বিষয়টি আপনি সহজে সামলাতে পারবেন।

একই অফিসে কাজ করা দম্পতিদের জন্য ডা. সঞ্জয় মুখার্জির কিছু টিপস

একে অপরের কাজে বাধা দেবেন না
আপনারা বিবাহিত, এর মানে এই নয় যে আপনি আপনার সঙ্গীর সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে সঙ্গীর সব বিষয়ে জানতে চাইবেন না। যদি আপনার সঙ্গী কোনো সহকর্মীর সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে আগ বাড়িয়ে আপনি কখনোই আপনার সঙ্গী বা সহকর্মীকে উপদেশ দিতে যাবেন না। তাদেরকেই পরিস্থিতি মোকাবলা করতে দিন।

কিছুটা দূরত্ব রাখুন
প্রতিটি সম্পর্কেই কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। এই কিছু সময়ের দূরত্ব একে অপরের সম্পর্ককে আরো গভীর করতে সাহায্য করে। যখন একই অফিসে কাজ করবেন, তখন নিজেরা একসঙ্গে বেশি সময় না কাটিয়ে অন্য কলিগদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। দুজনের অফিস-বন্ধু আলাদা হতেই পারে। তাদের সঙ্গে আলাদা সময় কাটান। একে অপরের পেশাগত সম্পর্কে কথা না বলাই ভালো। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো এবং এতে পেশাদারিত্বও প্রকাশ পাবে। এটা সব সময় জরুরি না যে সব কাজ একসঙ্গেই করতে হবে। আপনার সঙ্গীর আলাদা একটি জগৎ থাকতেই পারে। এ বিষয়টি বুঝলে কোনো সমস্যাই আর সমস্যা মনে হবে না।

ব্যক্তিগত বিষয় নিজের কাছেই রাখুন
দুজনের মধ্যে পারিবারিক কলহের বিষয় কখনো অফিসে আলোচনা করবেন না। দুজন যেহেতু একই অফিসে চাকুরি করেন, অফিসে আপনার সঙ্গীর ইমেজ নষ্ট করবে এমন কাজ না করাই ভালো।

পেশাদ্বারিত্ব বজায় রাখুন
অফিসে এসে কখনোই নিজের পরিবারের সদস্য এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলাপ করবেন না। অফিসে অতি আন্তরিক আচরণ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ, এ ধরনের আচরণ অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে। আপনার সঙ্গীকে কখনও আপনার দেওয়া নামে ডাকবেন না। এতে কর্মক্ষেত্রে আপনাদের পেশাদ্বারিত্ব এবং সম্মান দুটোই বজায় থাকবে

একে অপরকে ঈর্ষা করবেন না
কোনো একজনের প্রমোশন হলে বা বস প্রশংসা করলে অন্যজন কখনোই ঈর্ষা করবেন না। মনে রাখবেন, একজনের পদোন্নতি বা সফলতা মানে দুজনেরই সফলতা। তাই এ ধরনের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন।

সহকর্মীদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিন
সঙ্গীর কোনো সিদ্ধান্তে সরাসরি সমর্থন জানানোর চেষ্টা করবেন না। অন্যদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে পরে আলাদাভাবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করে নিন এবং অন্যভাবে সমাধানের চেষ্টা করুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

দম্পতি যখন সহকর্মী
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet