বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বেসরকারি মোবাইলফোন অপেরেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে কার্যালয়ের ভেতরে গ্রামীণফোনে কথা বলা যাচ্ছে। অন্যান্য বেসরকারি মোবাইলফোন অপেরেটরের নেটওয়ার্কও সচল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খালেদার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর থেকে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। তবে মোবাইলফোন ছাড়া অন্য সংযোগগুলো এখনো বন্ধ আছে।
একাধিক মোবাইলফোন অপেরেটর সূত্রে জানা গেছে, “আজ দূতাবাসগুলোর মুঠোফোন নেটওয়ার্ক চালু করে দিতে বিটিআরসি থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান এলাকায় মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক সচল করা হয়।”
তারা বলেন, “সুনির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে নেটওয়ার্ক চালু বা বন্ধ করা সম্ভব নয়। বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) চালু করে দেওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার কার্যালয়েও নেটওয়ার্ক পাওয়া যেতে পারে।”
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের আশপাশে মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের জটিলতার কারণে টেলিফোন যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় ছিল কয়েকটি দূতাবাস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের আশপাশে জাপান, নেদারল্যান্ডস ও স্পেন দূতাবাস মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে টেলিফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অসুবিধার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানায়। ৩ দূতাবাসের অনুরোধের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। এর পরদিন দুপুরের দিকে বিভিন্ন মোবাইলফোনের সংযোগ, ইন্টারনেট, কেবল টিভি ও ল্যান্ডফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয় হয়। প্রায় ১৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ৩১ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। তবে অন্য সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল। টেলিটক ছাড়া অন্য ফোন নেটওয়ার্ক সেখানে পাওয়া যাচ্ছিল না।