অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড ২০১৫ বিশ্বকাপে স্লেজিং হলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বিশ্বকাপে খেলা চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মোটা অঙ্কের জরিমানা ও বহিষ্কারসহ কাটাতে হবে নিষেধাজ্ঞাও।
মঙ্গলবার মেলবোর্নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।
অনেক সাংবাদিকই ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও হলুদ-লাল কার্ডের প্রচলনের সপক্ষে মত দিয়েছিলেন। তবে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী।
রিচার্ডসন জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠে স্লেজিংয়ের দায়ে অভিযুক্তরা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলেও টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো ম্যাচে তা প্রমাণিত হলেই বহিষ্কৃত হবেন তারা।
তিনি বলেন, স্লেজিং বিষয়টি সম্পর্কে আইসিসির মতামত বিশ্বকাপের ম্যাচ গড়ানোর আগেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বেশ কয়েকটি দলের কিছু খেলোয়াড়ের আচরণ নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজকে ঘিরে কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গের ১২ – ১৩ টি অভিযোগ এসেছে। এটা পুরো ক্রিকেটের জন্যই ক্ষতিকর। এখানে নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন যেমন আছে তেমন একটি দলের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রসঙ্গত, স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে আইসিসির এই কঠোর অবস্থানের ফলে ইতোমধ্যেই হুমকির তলোয়ার ঝুলছে ভারতীয় ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান এবং বিরাট কোহলির ওপর। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজটিতে শিষ্টাচার ভঙ্গের দায়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে তাদের। খড়গ ঝুলছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের জন্যও। গত ২ মাসে ২ বার তিনি আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষকে মৌখিক আক্রমণের অভিযোগে অপরাধী প্রমাণ হয়েছেন।