সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর খুলে গেল সেই সৌদিআরবের শ্রমবাজার। বর্তমানে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।
দেশটির শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার পর আবার আগের মতোই শ্রমিক পাঠানো যাবে এখন থেকে। নামমাত্র খরচে চাকরি নিয়ে সৌদি যেতে পারবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর মেলায় গতকাল থেকে শুরু হওয়া নিবন্ধন কার্যক্রমে অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। একপর্যায়ে নিবন্ধন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পুলিশেরও সহায়তা নেন তাঁরা।
কিন্তু কার আগে কে ফরম নেবে, তা নিয়ে গমনেচ্ছুদের মধ্যে বেধে যায় সংঘর্ষ। ওই ঘটনায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়ন ভেঙে যায়।
এরই প্রেক্ষিতে প্রবাসীকল্যাণ থেকে জরুরি নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে নিবন্ধনকারীদের উদ্দেশে বলা হয়, “এখানে তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিবন্ধন-প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। ডিজিটাল মেলার পরেও নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।”
নোটিশে আরো বলা হয়, “অফিস চলাকালে সৌদি আরবসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে গমনের জন্য বিএমইটির অধীন সব জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের কাজ চলবে।”
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগে সৌদি আরব যেতে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা খরচ হলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বিনা পয়সায় প্রতি মাসে ১০ হাজার কর্মী যেতে পারবে। গত সোমবার সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান।
গৃহস্থালিসহ কয়েকটি খাতে এসব কর্মী কাজ পাবেন। তাঁদের খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা সৌদি কম্পানি। তাঁরা মাসে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ রিয়াল (প্রায় ২৪ থেকে ৩১ হাজার টাকা) বেতন পাবেন। শুধু পাসপোর্ট তৈরি ও মেডিক্যাল পরীক্ষার খরচ বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিবন্ধন করা যাবে ৯ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত ডিজিটালওয়ার্ল্ড এর মেলায়।
এমন খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নিবন্ধনের জন্য বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্টলে এবং সেই সাথে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে।