ইউক্রেনে চলমান সশস্ত্র সহিংসতা সমাধানের লক্ষ্যে বহু-কাঙ্ক্ষিত শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে কিয়েভ ও মস্কো।আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতারা।
বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয় দুই পক্ষই। খবর বিবিসির।
ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্যোগে মিনস্ক বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো।
ইউক্রেন প্রধানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, ‘আমরা প্রধান প্রধান ইস্যুতে একমত হতে পেরেছি।’
বেঠকে অংশ নিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। তিনি বলেছেন, এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। তবু বলা যায়, একটা ‘গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি’তে পৌঁছানো গেছে।
বুধবার শুরু হওয়া বেলারুশ বৈঠক প্রায় ১৭ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। পূর্ব ইউক্রেনে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারিবাহিনীর যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে, তার ইতি টানতেই এই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল ফ্রান্স ও জার্মানি।
এতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মার্কেল।
নেতারা বলেছেন, বিদ্রোহীরাও অস্ত্রবিরতির এই চুক্তি মেনে নিয়েছে।
বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও রসদ মদদ দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছিল ইউক্রেন ও পশ্চিমারা। তবে প্রথম থেকেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন পুতিন ও তার সরকার।
প্রসঙ্গত, দুই পক্ষের সমঝোতায় অস্ত্রবিরতির ঘোষণা কিন্তু এই প্রথম নয়। মিনস্কে আরেক বৈঠকের ফলশ্রুতিতে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সম্মতি হয় উভয় পক্ষ।
এরও আগে ২০-২৭ জুন সাত দিনের সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো।
কিন্তু পূর্ব ইউক্রেনের দখল ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সরকারিবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ কোনোবারই থামেনি। পূর্বে দুই দফায় অস্ত্রবিরতি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এপ্রিলে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে অন্তত পাঁচ হাজার ৪৮৬ মানুষ নিহত হয়েছে।