বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কূটনীতিকদের। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ব্রিটেনের হাইকমিশনারের এ সংক্রান্ত একটা টুইট নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। এদিকে খালেদা জিয়া কার্যালয়ে খাবার নিতে দেয়নি পুলিশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন টুইটারে বেশ সক্রিয়। বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর দু’টি টুইট করেন তিনি। কূটনৈতিক ভাষায় দু’দিক ঠিক রেখে পাঠানো টুইটে তিনি ‘বেগম খালেদা জিয়া’ নামক একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ট্যাগও করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের টুইটে ট্যাগ করা অ্যাকাউন্টটি খালেদা জিয়ার কিনা তা যাচাই করতে ডয়চেভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন যোগাযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের তথ্য কর্মকর্তা শাইরুল কবির খানের সঙ্গে। তিনি জানান, “ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কোন টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে বলে আমার জানা নেই। তাঁকে কখনো টুইটার ব্যবহার করতে দেখিনি বা শুনিনি। কেউ হয়ত তাঁর নামে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন, “ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি টুইটার ব্যবহার করে বলেও আমার জানা নেই।”
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া টুইটার ব্যবহারের কোনো খবর আগে কখনো প্রকাশ হয়নি। যে অ্যাকাউন্টটি রবার্ট গিবসন ট্যাগ করেছেন সেটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় নয়। একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টটি টুইটারও ভেরিফাই করেনি। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদক রবার্ট গিবসনকে টুইট করলেও তার কোনো উত্তর মেলেনি।
এদিকে, রবার্ট গিবসনের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের পর আবারো সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেত্রীর গুলশান কার্যালয়ে বুধবার রাতে খাবার নিতে দেয়নি তারা। বৃহস্পতিবারও সকালে এবং দুপুরে খাবার পৌঁছেনি সেখানে। [একটি ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন]