প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমাদের অনেক কিছুর অভাব আছে। কিন্তু মেধার অভাব নেই। এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে আইটি কোম্পানি আর গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক বাংলাদেশেই করতে পারি।
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে গেছে দাবি করে জয় বলেন, এই বিপ্লব এমনি এমনি হয় নাই। অনেকে বলে, দেশটা এমনিই এগিয়ে যায়। সেটা যদি হতো, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন কেন বাংলাদেশ এগিয়ে যায়নি?
আজকে দেশ এগিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের কারণে, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের পরিশ্রমের কারণে।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজিব ওয়াজেদ জয় আহ্বান জানান, “আসুন একসঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে থাকি।”
তিনি জানান, আজ আমরা একটা মিটিং করেছি। আমরা ট্র্যাডিশনাল আইপিও থেকে স্মল ক্যাপ-ছোট ছোট কোম্পানির আইপিও করা যায় কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।
জয় আরও বলেন, আমরা একটি সেক্টরের (গার্মেন্টস) ওপর নির্ভর করতে পারি না। দেশে শিপ বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে। আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই সেক্টর গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে এর আয় ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে আড়াইশ’ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০১৯ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার আইসিটি এক্সপোর্ট থেকে আয় করা। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম সারির দেশ হবে।
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য এই গতিতে চললে হবে না। আরও গতিশীল হতে হবে। আমাদের ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দরকার হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটা অসম্ভব কিছু নয়। সহজেই আমরা করতে পারব।”
লালিত স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, “হলভর্তি দর্শক দেখে খুব আনন্দ লাগল। ডিজিটালের প্রতি তরুণদের আগ্রহ দেখে আনন্দ পেয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি এ জন্য গর্বিত। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে। আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলব। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন সেই স্বপ্নের একটা সফলতা।”
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সভাপতি এস এম আশরাফুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া ওই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সফটওয়্যার শিল্পে শুল্কমুক্তির ঘোষণা আসবে আগামী জুন মাসে। তখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।”
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্য করে মুহিত বলেন, “তরুণদের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তোমাদের বয়স আমাদের অর্ধেকও নয়। তোমরাই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে। সেজন্যই তোমাদের দেখ-ভালের দায়িত্ব পলকের (আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক) হাতে। যিনি মন্ত্রিসভায় সবার মধ্যে তরুণ।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক, সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বেসিসের প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর; ড. আতিউর রহমান প্রমুখ।