বিশ্বকাপ শুরুর আগে দেশের মানুষকে হতাশ করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। চারটি প্রস্তুতি ম্যাচের চারটিতেই হারতে হল তাদের।
প্রথম দুটি ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হারলেও ভালই করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু শেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বুকে শেলের মত বিঁধে থাকল। এটা যে মনে করিয়ে দিয়েছে ২০০৭ ক্যারিবিয়ান বিশ্বকাপের কথা। যেখানে সুপার এইটে আইরিশদের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
যদিও আজকের ম্যাচটি ছিল নিছকই প্রস্তুতি ম্যাচ। তবুও টেস্ট প্লেয়িং একটা দল আইসিসির সহযোগী কোন দেশের সঙ্গে হেরে গেল কথা থেকেই যায়। সেই কথা এরই মধ্যে উঠে গেছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। দলের অভিভাবক হয়ে কথা বলতে হচ্ছে মাশরাফিকেও।
বিষয়টি যে তারও ভাল লাগেনি সেটা নড়াইল এক্সপ্রেস বলে দিয়েছেন অকপটে, “ফলাফলের বিচারে আমাদের প্রাপ্তি শুণ্য। এখানে আমাদের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে ছিল নিজেদের তৈরি করা। কিন্তু আমরা সেটা প্রদর্শন করতে পারিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাল খেলেও জিততে পারিনি। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খুবই বাজে খেললাম।
আমাদের মোটেও ধারাবাহিকতা নেই। তারপরও আমি মনে করি আমরা গুরুত্ব সঙ্গেই অনুশিলন করেছি। কী ধরণের উইকেটে খেলা হবে আমার মনে হয় এই ধারণা সবাই পেয়েছে। কিন্তু ঠিকঠাক প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রস্তুতি ম্যাচে যদি হারতেই হয় তাহলে দুই সপ্তাহ আগে থেকে কেন ব্রিসবেনে ক্যাম্প করা? চোট কাটিয়ে ফেরা এক মাইকেল ক্লার্ক ছাড়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশে কোন তারকা ক্রিকেটার ছিলেন না। তাদের কাছে দুই ম্যাচের দুটিতেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই কী ক্রিকেটাররা গাফিলতি করেছে, না বাংলাদেশ দলের সামর্থ্যর অভাব রয়েছে?
বাংলার অধিনায়কের উত্তর, “এরকম পরাজয় ভাল কোন ইঙ্গিত বহন করেনা। সত্যি কথা বলতে আমি এখনও বিশ্বাস করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। সবার কাছেই এই হার ছিল বেদনাদায়ক।
সবাই যদি এটা অনুধাবন করতে পারে তাহলে ভাল ফল পেতে বেশি সময় লাগবে না।”
মাশরাফি বিন মুর্তজা এরপর যোগ করেন, “আমাদের সামর্থ্য নেই কথাটা ঠিক নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪৬ রান করেছি। মনে হয় মানসিকভাবে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারছি না। আমাদেরকে মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে। নইলে আমাদের ভুগতে হবে।”