বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তির জট খোলার আশা দিলেন ঢাকা সফররত পশ্চিমেবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যার কারণে চার বছর আগে এই চুক্তি হতে গিয়েও হয়নি।
আজ শনিবার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন। মমতা বলেন, দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে তিস্তার ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মমতা পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ না পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, পানি এলে ইলিশও যাবে। বৈঠকে মমতা শেখ হাসিনাকে জানান, স্থলসীমা চুক্তির বিষয়ে লোকসভার আগামী অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধন বিল পাস হবে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের অমীমাংসিত বহুল আলোচিত স্থল সীমানা চুক্তিও উঠে আসে। বছর তিনেক আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা আটকে যায়, স্থলসীমা কার্যকর করা নিয়েও বিরোধিতা ছিল তাঁর। তবে ঢাকা সফরে এসে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে কথা বললেন তিনি।
এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ বছর পর ঢাকায় এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবনে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাকে ছিটমহলবাসীর দুর্ভোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে মমতা জানান, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন।
একই সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ’৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো নিবিড়-সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই নেতা।
সবার উপস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও মমতার মধ্যে ১৫ মিনিট বৈঠকের পর আধ ঘণ্টার বেশি সময় তারা একান্তে কথা বলেন।