ভাষার টানে একাকার দুই বাংলার মানুষ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে শনিবার এক হয়েছিলেন দুই বাংলার ‘বাংলা ভাষাভাষী’ মানুষভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ একই মঞ্চে গাইলেন বাংলার জয়গান। নেতারা হাতে হাত রেখে ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন বাংলাকে।মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে শনিবার এভাবেই কাটালেন দুই বাংলার ‘বাংলা ভাষাভাষী’ মানুষ।

বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হল। মিষ্টি বিতরণ, আলোচনা আর গানে গানে মাতোয়ারা হল দুই বাংলার একই আকাশ একই বাতাস।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক, রাজ্যসভার বনগাঁ অঞ্চলের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধীপতি রহিমা খাতুন ও বনগাঁ পৌর মেয়র জোছনা আঢ্যের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় ভারত থেকে আসা শত শত বাংলাভাষী মানুষ বাংলাদেশীদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেয় একে অপরকে। নোমান্সল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উভয় দেশের জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল আলম, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন তাদের স্বাগত জানান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে শনিবার এক হয়েছিলেন দুই বাংলার ‘বাংলা ভাষাভাষী’ মানুষআলোচনা সভায় প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক বলেন, ‘৫২-এর ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের জনগণ ও সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সে জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘আপনারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ভাষা আর স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগের নজির পৃথিবীতে অন্য কারও নেই। এ জন্য আপনারা গর্বিত জাতি। ভাষার টানে আমরা বাংলাদেশে ছুটে এসেছি একুশ উদযাপন করতে।’

দুপুরে ভারতীয় মন্ত্রী ও একুশ উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের অতিথিদের সঙ্গে করে নিয়ে যান পেট্রাপোল সীমান্তে নির্মিত একুশ মঞ্চে। সেখানে আলোচনা সভায় দই দেশের মাতৃভাষা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উভয় মঞ্চে একুশের কবিতা আবৃতি, ছড়া, গীতিনাট্য, আলোচনা আর সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আব্দুল জব্বার, আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপ্যাধায়, কবি আব্দুল আজিজ সংঙ্গীত আবৃত্তি ও কবিতা পাঠ করেন।

২০০২ সাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে দুই বাংলার মানুষ।


জাতীয় বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

ভাষার টানে একাকার দুই বাংলার মানুষ
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet