পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দুইশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে এমভি মোস্তফা নামের একটি লঞ্চ।
লঞ্চডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ছয়মাস বয়সি এক শিশুকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। উদ্ধার করা ৫ জনের মধ্যে রয়েছে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষে লাশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়ছে এবং নিখোঁজ রয়েছে বহু যাত্রী।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়ায় যাওয়ার পথে মাঝপদ্মায় রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এমভি নারগিস নামে একটি সারবাহী কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।’
উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি-৮৩৮৯।
লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে উদ্ধার করা ৬ মাস বয়সি এক শিশুকে শিবালয় উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এছাড়াও তিন নারী ও দুই পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪৫ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চডুবির সর্বশেষ এ তথ্য জানান পাটুরিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল মুকতাদির।
তিনি আর জানান, ‘যাত্রীদের উদ্ধারে নৌপুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। এখনও অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।’
দুর্ঘটনার পর এমভি নারগিসকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এই ফাঁড়ি ইনচার্জ।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার তাপতুন নাসরিন।
এদিকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় যাদের উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের তাৎক্ষণিক সেবা দিতে ঘটনাস্থলে একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।’