চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমানকে একটি অডিও টেপে গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলতে শোনা গেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে রাজধানীতে মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণমিছিলের পরিকল্পনা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বলে ওই অডিও টেপে শোনা যায়।
বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান আন্দোলন নিয়ে দুই নেতার দীর্ঘ ২৬ মিনিট কথোপকথন রয়েছে ওই টেপে।
একসময়ের বামধারার ছাত্রনেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আশির দশকে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।
২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান। ওই সময় তিনি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
২০০৮ সালে নির্বাচনের পর দল থেকে পদ হারান মান্না। এরপর গত মহাজোট সরকার আমলে তিনি নাগরিক ঐক্য গঠন করেন।
গত ০৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মান্নার উল্লেখযোগ্য কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা না গেলেও গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে এক অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ‘মাঠে নামার’ ঘোষনা দেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “বিএনপি রোজার পর আন্দোলন করবে। রোজার পর আমরাও মাঠে থাকব। আমাদের অভিভাবক ড. কামাল হোসেন আমাদের সাথে থাকবেন।”
মূলত ওই সময় থেকেই গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও সিপিবি-বাসদের সঙ্গে জোট করে তৃতীয় শক্তি গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন মান্না।
সম্প্রতি বিএনপির টানা হরতাল অবরোধের মধ্যে সুশীল সমাজের একাংশকে নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক’ নামের একটি মঞ্চ গঠন করেন কামাল-মান্না ।
এই মঞ্চ থেকে বিএনপির সঙ্গে আগাম নির্বাচন বিষয়ে সংলাপের চিঠি প্রদানসহ একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে আহ্বান জানান মান্না, কামাল ও কাদের সিদ্দিকী।
মান্না সম্প্রতি বলেছেন, সরকার সংলাপের ক্ষেত্রে নমনীয় না হলে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।