বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান অবরোধ-হরতালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেড় শতাধিক গাড়ির মালিককে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মালিকদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন শেখ হাসিনা। এর আগে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে গিয়ে আগুন-বোমায় দগ্ধদের সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি।
প্রথম পর্যায়ে এদিন ১৫৬টি গাড়ির ১৪৬ জন মালিককে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট চার কোটি ২০ লাখ টাকা এদিন সহায়তা হিসেবে দেন তিনি।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত জোট, যার আজকে ৫১তম দিন। অবরোধের মধ্যেই কর্মদিবসগুলোতে থাকছে তাদের হরতাল।
গত প্রায় দুই মাস ধরে চলা হরতাল-অবরোধে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে; যাতে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, চলমান অবরোধ হরতালে ১৮০০ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়েছে।
“এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের জন্য আবেদন করেছেন ৮২৩টি গাড়ির মালিক; যার মধ্যে আগুনে পুড়েছে ২৮৭টি এবং ভাংচুরের শিকার ৫৩৬টি গাড়ি।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজ প্রধানমন্ত্রী প্রথম পর্যায়ের অনুদান দিলেন। অন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পর্যায়ক্রমে তারাও অনুদান পাবেন। ড্রাইভার-হেলপার যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তারাও প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাবেন।
এসময় গাড়ি মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে সহানুভূতি রয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ এটি।”
চলমান অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।