সরকারি তথ্য বিবরণী

‘সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক’

---সম্পাদক পরিষদের দেওয়া মঙ্গলবারের বিবৃতিকে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবতা বিবর্জিত, সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে।সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বুধবার সন্ধ্যায় ‘সম্পাদক পরিষদের নামে প্রকাশিত বিবৃতির বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য’ শীর্ষক এই প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশনা বা সম্প্রচার বিষয়ে সংসদ যদি আলোচনা বা সমালোচনা করে, তা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে সংসদ।’

মঙ্গলবার প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের নিয়ে গঠিত সম্পাদক পরিষদ নামের একটি সংগঠন লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশ যখন গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ও সম্প্রসারমান যুগে প্রবেশ করেছে, তখন সম্পাদক পরিষদের নামে প্রদত্ত বিবৃতি দেশের সঠিক চিত্র প্রতিফলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক। অতীতে সাংবাদিকদের ওপর প্রশাসনের চাপ পরিলক্ষিত হতো। বর্তমান সরকার তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। উপরন্তু মাফিয়া, জঙ্গি ও ধর্মাশ্রয়ী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার থেকে সাংবাদিকদের বাঁচাতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।’

সরকারের গণমাধ্যম সহায়ক ভুমিকার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদ্যমান প্রিন্টিং প্রেসেস এন্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট, প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের শর্তাবলী বা বিজ্ঞাপন নীতি কোনোটিই গণমাধ্যমের সংকোচন বা নিয়ন্ত্রণমূলক নয়। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও সাংবাদিক গ্রেফতার আইন সংশোধন করে শিথিল করেছে। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন এ মুহূর্তে দেশে নেই।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিগত সরকারের আমলে যেখানে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মিলে মোট ছয়শ’ পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতো, সেখানে এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুশো’রও বেশি। দেশে এখন ২৬টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে ১১টি এফএম রেডিও। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হিসেবে ৩২টি কমিউনিটি রেডিওকে সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছে, যার মধ্যে ১৪টির পূর্ণ সম্প্রচার চলছে।’

বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্মরণকালের সবচাইতে স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সাল থেকে শুরু করে গত ৬ বছর ২ মাসে সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপমূলক কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও সাংবাদিক গ্রেফতার আইন সংশোধন করে শিথিল করেছে। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন এ মুহূর্তে দেশে নেই।’

এতে বলা হয়, ‘সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মহল বা ব্যক্তির মালিকানাধীন সকল গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশব্যাপী তাদের অসংখ্য পত্র-পত্রিকা যেমন অবাধে প্রকাশিত হচ্ছে, তেমনি তাদের মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে সম্প্রচারিত হচ্ছে। মালিকদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতের কারণে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর কখনও কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি। দলীয় মত প্রচারের কারণেও কোনো গণমাধ্যমকে নিগ্রহ করা হয়নি। প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে দেশের গণমাধ্যম কত উন্মুক্ত ও স্বাধীন।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সম্পূরক। তাই সরকার গণমাধ্যমকে সক্রিয়, উন্মুক্ত ও গতিশীল রাখতে সদা সচেষ্ট।’


জাতীয় বিভাগের আরো খবর...
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে  হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে হাইকোর্ট থেকে সমাধান আসা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেল বাংলাদেশ
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম ভেঙে দেওয়া হচ্ছে সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম
গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান কোরবানির সুস্থ পশু চেনার উপায়, অসুস্থ গরু থেকে সাবধান
এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ এইডসের গুজবে বিব্রত মমতাজ
জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি জুনেই ঢাকায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

‘সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক’
(সংবাদটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।)
tweet