রাজধানীর গাবতলী থেকে ২০টি পেট্রোল বোমাসহ ছাত্রদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টার দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তারা দু’জন হলেন- ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. জাকির হোসাইন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতারা নাশকতা ঘটানোর জন্য কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “আটক দুই ছাত্রদল নেতা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করার জন্য তারাসহ আরও কয়েকজন সেখানে অবস্থান করছিলেন।”
“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদসহ ১০-১৫ জন পালিয়ে গেলেও ২০টি পেট্রোল বোমাসহ দুইজনকে হাতেনাতে ধরা হয়।”
তিনি বলেন, “আটক জাকির জাবির ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হলেও তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থান না করে সহযোগীদের নিয়ে জাবি ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পেট্রোলবোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতেন।”
“বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় তার কিছু বহিরাগত সহযোগী আছে, যাদের দিয়ে হরতাল-অবরোধে ঢাকা ও সাভারে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতেন তিনি।”
কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে হাতবোমার বিস্ফোরণ এবং ছাত্রদলের ডাকা ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের তালায় সুপার গ্লু দেওয়ার সঙ্গেও জাকির জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
এছাড়া ছাত্রদলের এই নেতা বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের মুঠোফোনে ও উড়ো চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দিতেন বলেও বলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।
আর জাকিরের ঘনিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃনাল কান্তি দাশও হরতাল-অবরোধে রাজধানীতে হাতবোমা ও পেট্রোল বোমা হামলার পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“আটক ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস দালাম থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে বেশি সময় পেলে তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।” জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, উপকমিশনার(মিডিয়া) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।