আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের পারদ ছিল আকাশচুম্বি। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর। কিন্তু তাতে কি? বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান পাত্তা দিচ্ছেন না কোন কিছুকেই।নেলসনের নয়নাভিরাম প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে তিনি যেন স্বস্তির বাতাস ছড়িয়ে দিয়ে গেলেন গোটা দলের মধ্যেই। অভয় দিয়ে বললেন, ‘খুব সাধারণ হিসেবে দুটি ম্যাচ জিতলে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে যাবো। এটা হলে কোন অংক কিংবা কোন সমীকরণ প্রয়োজন হবে না। সহজ হিসেব আমাদের সামনে ৩টা ম্যাচ আছে; এর মধ্যে ২টি ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আগের দিন তাকে হটিয়ে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের তালিকার এক নম্বরে উঠে এসেছেন তিলকরত্নে দিলশান। সাকিবের নিজের এতে তেমন করার কিছু ছিল না; তারও রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। কিন্তু দিলশানের অতিমানবিক পারফরম্যান্সে পিছিয়ে পড়েছেন বাংলাদেশী অলরাউন্ডার। তবে এই র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়া বা এগিয়ে থাকা নিয়ে যথারীতি ভাবিত নন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহঅধিনায়ক। চিন্তাভাবনা জুড়ে এখন তার স্কটল্যান্ড ম্যাচ।
সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা কি কি ভুল করেছি, আর এখন সেসব জায়গায় কি কি উন্নতি করার দরকার আছে; সেসব নিয়েই আমরা এখন ভাবছি। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে অবশ্যই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা সম্ভব।’
শেন জার্গেনসন স্কটল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। আপনাদের স্ট্রেন্থ সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে। এটা সমস্যা হতে পারে কিনা? এ প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘এখন বিশ্ব ক্রিকেটে সবাই সবার সম্পর্কে জানে। যেহেতু এত খেলা হয়; সবাই টিভিতে দেখে। সবাই সবারটা বিশ্লেষণ করে, সবাই সবারটা জানে কম-বেশি। পরিকল্পনা করলেই যদি সব হতো তাহলে সবাই পরিকল্পনাই করত মাঠে না খেলে; মাঠে খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ অন্য দলগুলোর থেকে ভাল। এটা নিয়ে বাড়তি কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা? এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এই উইকেটে স্পিনাদের জন্য অদৌ কোনো সাহায্য আছে কিনা, এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যদি উইকেটে সাহায্য পাওয়া যায়, আমার মনে হয়, আমাদের দলে যে সব স্পিনার রয়েছেন তারা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা যে ২টি ম্যাচ খেলেছি, উইকেটে বিন্দুমাত্র কোনো সহযোগিতা ছিল না স্পিনাদের জন্য।’
‘এ কারণে ফাস্ট বোলাদেরই দায়িত্বটা বেশি।’ মনে করিয়ে দিলেন সাকিব।