উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওনা হয়েছেন লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অজয় রায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, ‘বন্যার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব মার্কিন দূতাবাস পালন করছে। আমার জানা মতে, বন্যার চিকিৎসার জন্য হংকং থেকে একজন চিকিৎসক ঢাকায় এসেছিলেন এবং তাঁকে গত রাতে (সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন।’
‘আজ মঙ্গলবার রাতেই বন্যার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা’, বলেন অজয় রায়।
অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহায়তা করতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর বাংলাদেশে আসা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অজয় রায় জানান, অভিজিৎ ও বন্যা মার্কিন নাগরিক হওয়ায় এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পেছনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে এফবিআই আমাদের নিশ্চিত করেছে। আমার জানা মতে, তারা এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
এর আগে অভিজিতের ছোট ভাই অনুজিৎ রায়ের স্ত্রী কেয়া বর্মণ গতকাল টেলিফোনে বলেছিলেন, ‘সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে বন্যার। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বন্যাকে আমেরিকায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে।’
২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসি এলাকায় ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রাফিদা আহমেদ বন্যাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহায়তা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।