বিদেশী পর্যটকদের জন্য ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন’ বা আলাদা বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে মিরেরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।এ সময় কক্সবাজারে পর্যটন সুবিধা বাড়াতে ভবিষ্যতে যে কোনও পদক্ষেপ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় পর্যটন পরিষদের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে অপরিকল্পিত ভাবে নানা স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। দেশি বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নীতিমালা বা উদ্যোগ ছিলনা।’
এছাড়া সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশের পর্যটন অঞ্চল গুলোতে বিদেশী পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের কার্যক্রম দ্রুত ও গতিশীল করতে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৫-২০১৮ তিন অর্থবছরে এ খাতে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুন্দরবনকে ইকো ট্যুরিজমের আওতায় আনতে হবে এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে।’
টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ সংলগ্ন এলাকাকে প্রাকৃতিক গ্রামীণ পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে বলেও আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়।