বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার সকাল থেকেই কোরানখানির মাধ্যমে চেহলাম শুরু হয়ে বাদ আসর দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মোনাজাতে অংশ নেন- ব্যারিস্টার রফিক উল হক, মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যালয়ে অবস্থানকরা স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই জাহিদ হোসেন এবং তার দুই ছেলে আকিদ ও আসাদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় বসে মোনাজাতে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
কার্যালয়ে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার থেকে বাড্ডার আজিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, আনিসুর ইসলাম আনিস, মো. আব্দুর রহমান, শহীদুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম খলিল ও মীর হোসেন দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করেন।
গুলশান কার্যালয়ের সামনে দলের কিছু কর্মী কোকোর চেহলামের মোনাজাতে অংশ নেন। দোয়া ও মোনাজাত শেষে কার্যালয়ের সামনে তবারক বিতরণ করা হয়।
খালেদার জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ বুধবার। গেল ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান।
তারপর তিনি ব্যাংকক থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বলে ২০১১ সালে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় জানান ঢাকায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কোকো সেই পথ ধরেননি।
তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর আকস্মিকভাবে আরাফাতকে করা হয় জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।