‘জয় বাংলা ……… জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হলো রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। এখানে যেনো নতুন করে রূপ পেলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যের আর জন্মের সাথে সম্পৃক্ত এই স্লোগান। জয় বাংলায় মুখরিত হয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ তরুণ তরুণী নতুন করে উদ্দীপ্ত হলো সামনে এগিয়ে চলার পথে।
এই স্টেডিয়ামেই ৭ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো জয়বাংলা’র জমজমাট কনসার্ট। বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত করতে এই কনসার্টের আয়োজন করে ইয়াংবাংলা। যাতে গান পরিবেশন করে এসময়ের সেরা ব্যান্ড দলগুলো।
দেশের গানে উজ্জীবিত সকল শ্রোতা দর্শক। শনিবার বিকেলে শুরু হয়ে কনসার্ট চলে রাত পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধা ও গীতিকবি, সুরকার, সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের নেতৃত্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন শিল্পী।
এরপর তারই সুর করা আরেকটি গান ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ গান পরিবেশন করা হয়। কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করে ব্যান্ডদল শুন্য, আর্বোভাইরাস শিরোনামহীন।
বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক ববিকে দেখা যায় উপভোগ করছেন উজ্জীবনের এই কনসার্ট।
প্রতিটি ব্যান্ডদল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অমর গানগুলো পরিবেশন করে। যে গানগুলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাজি রাখতে উজ্জীবিত করেছিল।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর তরুন প্রজন্ম আবার সেই গানেই উজ্জীবিত হয়। উপস্থিত তরুনরা শপথ গ্রহণ করেন এগিয়ে যাবার।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃংখল থেকে বেরিয়ে এসে সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়ে বাংলার মুক্তিকামী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সেই ভাষণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতেই এ আয়োজন।
বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এসময় বলেন, আমার কাছে সত্যিই অবাক মনে হচ্ছে স্বাধীনতার ৪৪বছর পর আবার আমরা শুনতে পাচ্ছি সেই অমর গানগুলো। আফসোস হয় আমাদের তরুণ বয়সে কেন এধরণের আয়োজন করা হয়নি।