মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর এবার আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং চূড়ান্তভাবে বহিষ্কাররে সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীকে আগেই মন্ত্রিসভা এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাঁকে কেন বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে নোটিশের জবাব দিয়েছেন। তবে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে জবাব সন্তোষজনক মনে হয়নি। এ জন্য তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম নিয়ে আক্রমণাত্বক কথা বলে মুসলিম উম্মাহসহ দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনে আঘাত দিয়েছেন।’
লতিফ সিদ্দিকী এ বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে দলের জাতীয় কমিটি আপিল করতে পারবে কি-না?-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপিল করার আর কোনো সুযোগ নেই।’
তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি-না?- এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা দলের সভার রেজুলেশন নির্বাচন কমিশনে পাঠাবো। নির্বাচন কমিশনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বব নিউইর্য়কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করেন। তার ওই মন্তব্য বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও প্রতিবাদ ওঠে। ঘটনার পরপরই ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী সভা থেকে অব্যহতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ১২ অক্টোবর তাকে মন্ত্রী সভা থেকে অব্যহতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই দিন রাতেই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে অব্যহতি এবং তার প্রাথমিক সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। ওই সভা তাকে ৭ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে তার আবদুল লতিফের স্থায়ী ঠিকানায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাবে শুক্রবার এ সভায় তাকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়।