অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রানের জয় অনেক দিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি আর রুবেল হোসেনের আগুনঝরা বোলিং বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে স্বপ্নপূরণের আনন্দ। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে মাশরাফির দল। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বাস, এই জয় দেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করবে।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ আটে উত্তরণের লক্ষ্য পূরণের পর মাশরাফির দৃষ্টি আরো দূরে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আগে আমাদের ধারাবাহিকতায় কিছুটা সমস্যা ছিল। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছি। আশা করছি এটা বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে বজায় থাকবে। দলের সবাই আশাবাদী, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখান থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচেই ব্যাটিং ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। সমালোচনা ছিল বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে। সোমবার তামিম ইকবাল একটা ক্যাচ মিস করলেও বল হাতে জ্বলে উঠেছেন তিন পেসার মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। সব সমালোচনার জবাব দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার বলতে খুবই খারাপ লাগছে যে আমাদের পেসারদের খুবই বাজেভাবে সমালোচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা জানি যে আমাদের সামর্থ্য কতখানি। আমার মনে হয় সবারই একে অন্যকে সম্মান করতে পারা উচিত।’
১০৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মাহমুদউল্লাহ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোচ বলেছিলেন যে শট খেলতে চাইলে খেলতে পারো। কোনো সমস্যা নেই। যদি মনে হয় কোনো শট খেলতে পারবে তাহলে মাঝামাঝি অবস্থায় না থেকে খেলে ফেলবে। আমার মনে হয় এই স্বাধীনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’