৩৬৪ রানের বিশাল জয়ের টার্গেটে পাল্লা দিতে পারবেনা স্কটল্যান্ড এটা অনুমিতই ছিল । পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফল দাঁড়ালো- শ্রীলঙ্কা ১৪৮ রানে জয়ী । এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে এ পুলে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শ্রীলংকা। ছয় ম্যাচে চার জয়ের সুবাদে লংকানদের পয়েন্ট ৮। আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার করা নয় উইকেটে ৩৬৩ রানের জবাবে ৪৩.১ ওভারে ২১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্কটল্যান্ড। একে একে ফিরে যান দুই ওপেনার কাইল কোয়েৎজার (০) ও ম্যাকলয়েড (১১)। কোয়েৎজারকে কট এন্ড বোল্ড করেন লাসিথ মালিঙ্গা। আর ম্যাকলয়েডকে সরাসরি বোল্ড করেন কুলাসেকারা। ৪৪ রানে দিলশানের শিকার হন ম্যাচান (১৯)।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক মমসেন ও কোলেম্যান। এই জুটি থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ১১৮ রান। এই জুটি ভাঙ্গেন পেরেরা। ৬০ রান করা মমসেনকে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তবে চলছিল কোলেম্যানের ব্যাট। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭০ রান করে কুলাসেকারার বলে বিদায় হন তিনিও। দলীয় রান তখন ১৮৯। এরপর তিন রান যোগ হতেই আবারও কুলাসেকারার আঘাত। সাত বলে মাত্র দুই রান করে সাঙ্গাকারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাইকেল লিয়েস্ক।
এরপর ব্যাট হাতে একটু লড়েছেন মাত্র বেরিংটন (২২ বলে ২৯ রান)। বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যে। কেউ দুই অংকের রান তুলতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার হয়ে কুলাসেকারা ও চামিরা তিনটি, মালিঙ্গা দুটি, পেরেরা ও দিলশান একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশানের জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৩ রান সংগ্রহ করে লংকানরা। লংকানদের হয়ে টানা চার সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েন সাঙ্গাকারা। তিনি করেন ১২৪ রান। দিলশান করেন ১০৪ রান। এছাড়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি (২০ বলে) করা ম্যাথিউস করেন ২১ বলে ৫১ রান। ম্যাচ সেরা হন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।
স্কটল্যান্ডের হয়ে জস ডেভি ৩ উইকেট নিয়ে টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টদের মতো তারকাদের পেছনে ফেলে চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় শীর্ষে উঠে যান। দুটি করে উইকেট নেন ইভানস ও ব্যারিংটন।