মাঠে পারফর্ম করছেন ক্রিকেটার রুবেল হোসেন আর মাঠের বাইরে সবাই মেতে আছেন হ্যাপিকে নিয়ে। দেশ-বিদেশের এমন আলোচনা-সমালোচনায় বিরক্ত চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি এ সমাজকে ধিক্কার জানিয়ে ফেসবুকে পর পর দুই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ‘না ফেরার দেশে’ চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
১১ মার্চ রাত সোয়া আটটার দিকে দেওয়া স্ট্যাটাসে হ্যাপি ইংরেজি অক্ষরে বাংলায় লিখেন- ‘আমি বড় দুর্ভাগা শেষ কথাটাও তোমাকে বলতে পারলাম না। অনেক ভালোবাসি বাবু। কোন ভুল করলে মাফ করে দিও। আম্মু, আব্বু তোমরাও মাফ করে দিও। আমি তোমাদের যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছ তোমাদের এর ঋণ শোধ করা সম্ভব না। এটাই আমার শেষ স্ট্যাটাস। বাবু, তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে এটা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হল না’
একই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় লিখেন তিনি- ‘কাউকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয় আমি তাহলে অনেক বড় একজন অপরাধী। যার সাজা আমি পাচ্ছি। ধন্যবাদ আমাদের এই সুন্দর সমাজকে। আর ধন্যবাদ রুবেল তোমাকে। তুমি বুঝিয়ে দিলে ক্রিকেটার হওয়ার মানে হলো ভালোবাসার অভিনয় করে একটা মেয়ের জীবনকে নষ্ট করেও অনুতপ্ত না হয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। সাধুবাদ জানাই তোমাকে। ভালো থাকো। অনেক দোয়া রইলো তোমার জন্য। আল্লাহকে বলছি তিনি যেন তোমাকে মাফ করে দেয়। আমার চোখের পানি যেনো তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে না আসে’।
এই দুই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর তাঁর স্ট্যাটাসগুলোতে অনেকেই লাইক ও শেয়ার করেন। কমেন্টে অনেকেই তাঁকে আত্মহত্যার পথে না যেতে অনুরোধ জানান। অনেকেই আবার বরাবরের মতো তাঁকে অপদস্ত এবং হাসিঠাট্টা করতে বাকি রাখেননি।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ শুরুর আগে রুবেল-হ্যাপির ‘প্রেম’ এবং ‘প্রতারণা মামলা’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরগরম ছিল, মূলধারার মিডিয়াগুলোতেও ছিল একই আলোচনা। বিশ্বকাপের আগে এই মামলার কারণে রুবেলকে জেল খাটতে হয় তিন দিন। পরে জামিন নিয়ে তিনি বিশ্বকাপে খেলতে যান।
প্রথম দিকে হ্যাপি মামলা চালালেও বিশ্বকাপে রুবেল হোসেনের পারফরমেন্সের কারণে রুবেলের প্রতি তাঁর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়ে বেশ উৎফুল্ল ছিলেন এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের কৃতিত্বে বাংলাদেশ জয়লাভ করায় মামলা না চালাবার ঘোষণা দেন।
এদিকে রুবেলের ভাল বোলিংয়ের কারণে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি খেলায় দারুণভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই রুবেলের প্রশংসা করতে গিয়ে হ্যাপিকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমও অপ্রত্যক্ষভাবে এ ধরণের কটাক্ষে শামিল হয়।