বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে খুঁজে বের করে রবিবার হাইকোর্টে কেন হাজির করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সালাহ উদ্দিনের পক্ষে করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানী শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
আদালতে সালাহউদ্দিনের পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সালাহ উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি আবেদন করেন তার স্ত্রী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ।
বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা সালাহ উদ্দিন আহমদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি ও তার পরিবার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বুধবার রাতে দাবি করা হয়, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১০টার পর পুলিশ, ডিবি ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০-২৫ জনের একটি দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। একই সাথে বাসার একজন পুরুষ ও একজন নারীকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ সালাহউদ্দিন আহমদকে আটকের কথা স্বীকার করেনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তারের পর থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ দলের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠাচ্ছিলেন।