এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াই হয়েছে দুইবার। তবে আগের লড়াইগুলোর চেয়ে মেলবোর্নে হতে যাওয়া এ লড়াই একটু আলাদাই বটে। গ্রুপ পর্বের গন্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দেখা হবে এবার কোয়ার্টার ফাইনালে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করা এ লড়াইয়ের আগে এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিশেষ কিছু তথ্য।
হেড টু হেড
ভারতের সাথে টাইগারদের প্রথম দেখা হয় ২০০৭ সালে। প্রথমবারেই বাঘদের ভয়াল থাবার শিকার হয় ভারত। এরপর ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাটিতে ভারতের কাছে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। তাই বিশ্বকাপের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে দুই দলই যেন সমানে সমান।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে কেউ কারো চেয়ে কম না হলেও, সব মিলিয়ে ভারতের চেয়ে পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। তবে, এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়ার সুখস্মৃতিও রয়েছে টাইগারদের।
মার্চ-ভাগ্য
টাইগারদের সবগুলো ভারত-বধ কাব্যই রচিত হয়েছে মার্চ মাসে। স্বাধীনতার মাস মার্চ যেন বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। এ ম্যাচেও মার্চের ‘ঐতিহ্য’ টিকে থাকবে বলে মনে করেন অনেক বাংলাদেশি সমর্থক।
মাশরাফির জ্বলে উঠা
নড়াইল এক্সপ্রেসের প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়তো ভারত। ভারতের সাথে প্রতিটি ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন তিনি, দুইটি ম্যাচে হয়েছেন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। এবারও দিয়েছেন রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি। বাঘরাজার এ প্রতিশ্রুতির উপর ভর করেই আশায় বুক বেধেঁ রেখেছেন ষোল কোটি বাংলাদেশি।
আলাদা চিন্তায় কোহলি
ভারতের সাফল্যের মূলমন্ত্র ব্যাটিং। আর তাদের এই ব্যাটিং লাইন-আপের মূল স্তম্ভ ভিরাট কোহলি। ছয় হাজারি দলের এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে একটু ভাবতেই হবে টাইগারদের। তবে কোহলিকে আটকাতে বাংলাদেশি বোলাররা আলাদা কোনো ছক এঁকেছেন কি না আর সেই ছকের ফাঁদে তাকে ফেলা যাবে কি না তা জানতে চোখ রাখতে হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
এক নজরে সম্ভাব্য একাদশঃ
বাংলাদেশঃ তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আরাফাত সানি/নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ।
ভারতঃ শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দন অশ্বিন, মোহিত শর্মা, মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব।