প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানান জাতীয় চার নেতাকে, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরো সম্মান জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের এবং কৃতজ্ঞতা জানান সব বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তিদের প্রতি, যাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, রায় দেওয়া হচ্ছে এবং রায় কার্যকরও শুরু হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঠিক সে সময়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার, পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট একাত্তরের স্টাইলে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। তাই আজকের এই মহান দিনে তিনি সব অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তা পৌঁছে দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল-মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থা এ কারণে আমাদের প্রশংসা ও পুরস্কৃত করেছে।’
স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা হবে। তাঁরা এ লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।